মনিষীদের জীবনী

জিয়াউর রহমান-বাংলাদেশের একজন বিপ্লবী নেতা


🔷 ভূমিকা

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জিয়াউর রহমান (Ziaur Rahman) এমন একটি নাম, যাকে ঘিরে আছে সম্মান, বিতর্ক, নায়কত্ব এবং ট্র্যাজেডির এক অপূর্ব মিশেল। তিনি ছিলেন একাধারে মুক্তিযোদ্ধা, সেনাবাহিনীর দক্ষ কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রপতি এবং জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা। তাঁর নেতৃত্ব বাংলাদেশকে একটি একদলীয় ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।


🔷 শৈশব ও পরিবারিক পটভূমি

জিয়াউর রহমান জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামে। তাঁর পিতা মনসুর রহমান ছিলেন একজন সরকারী রসায়নবিদ এবং মাতা জাহেদা খাতুন গৃহিণী। শৈশবে তাঁর পরিবার স্থানান্তরিত হয় করাচিতে।

  • শৈশবের শিক্ষা: করাচি ক্যান্টনমেন্ট স্কুল
  • কর্মসংস্থান-প্রবণ পারিবারিক জীবন: বাবা কর্মসূত্রে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়াতেন, যা ছোটবেলা থেকেই জিয়াকে শৃঙ্খলা ও অভিযোজন ক্ষমতা শিখিয়েছিল।

🔷 সামরিক জীবন ও প্রশিক্ষণ

১৯৫৩ সালে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে (PMA) ভর্তি হন এবং ১৯৫৫ সালে কমিশনপ্রাপ্ত হন। তাঁর সামরিক জীবন ছিল অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এবং সফল।

  • কমিশন লাভ: ১৯৫৫ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে
  • পদোন্নতি: ১৯৭১ সালের পূর্বে মেজর পদে উন্নীত হন
  • সেনাবাহিনীতে খ্যাতি: স্নাইপার ও প্রশিক্ষণ প্রশংসিত

🔷 মুক্তিযুদ্ধে অবদান

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর “অপারেশন সার্চলাইট” শুরু হলে জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন। ২৬ মার্চ সকালে তিনি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন:

“আমি মেজর জিয়া বলছি। বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি।”

🔶 যুদ্ধকালীন নেতৃত্ব:

  • Z-Force গঠন: জিয়ার নেতৃত্বে গঠিত Z-Force মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
  • ফ্রন্টলাইন নেতৃত্ব: যুদ্ধক্ষেত্রে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।
  • পুরস্কার: ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত হন।

🔷 স্বাধীনতা পরবর্তী সময় ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ এক অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পড়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা (BAKSAL) চালু করেন। একই বছরের ১৫ আগস্ট এক রক্তাক্ত অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়।

🔶 সামরিক অভ্যুত্থান ও রাষ্ট্রপতি হওয়া:

  • ৭ নভেম্বর ১৯৭৫: সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়া সেনাপ্রধান হন।
  • ১৯৭৭ সালে: রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

🔷 রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়াউর রহমান

🔶 রাজনৈতিক সংস্কার:

  • বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তন
  • সংবাদপত্রে আংশিক স্বাধীনতা প্রদান
  • বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) প্রতিষ্ঠা – ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮

🔶 অর্থনৈতিক নীতি:

  • মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু
  • কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন কেন্দ্রিক নীতি
  • ‘নিজের জমিতে ঘর’ প্রোগ্রাম
  • প্রবাসী আয় এবং বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহ

🔶 প্রশাসনিক সংস্কার:

  • উপজেলা পদ্ধতির ভিত্তি স্থাপন
  • স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালীকরণ
  • জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার কাঠামো প্রণয়ন

🔷 শেখ মুজিব ও জিয়াউর রহমান: তুলনামূলক বিশ্লেষণ

বিষয়শেখ মুজিবজিয়াউর রহমান
রাজনৈতিক আদর্শসমাজতন্ত্র, একদলীয় শাসনজাতীয়তাবাদ, বহুদলীয় গণতন্ত্র
প্রধান অবদানমুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বস্বাধীনতার ঘোষণা, রাষ্ট্র পুনর্গঠন
অর্থনীতিরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিতমুক্তবাজার নির্ভর
গণমাধ্যম নীতিসংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণসংবাদপত্রে আংশিক স্বাধীনতা
দল গঠনআওয়ামী লীগবিএনপি

🔷 এইচ এম এরশাদ বনাম জিয়াউর রহমান

বিষয়জিয়াউর রহমানএইচ এম এরশাদ
সেনা অভিজ্ঞতামুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধকালীন নেতাসেনাবাহিনীর প্রধান
ক্ষমতায় আসাসিপাহী-জনতার বিপ্লবসরাসরি সামরিক অভ্যুত্থান
রাজনৈতিক দলবিএনপিজাতীয় পার্টি
শাসনকাল১৯৭৭-১৯৮১১৯৮২-১৯৯০
জনপ্রিয়তাজাতীয়তাবাদী ভাবধারাপ্রশাসনিক দক্ষতা কিন্তু স্বৈরতন্ত্রের অভিযোগ

🔷 সমালোচনা ও বিতর্ক

  • রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন: বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর দমনপীড়নের অভিযোগ
  • সেনাবাহিনীতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ
  • সংবিধান সংশোধন ও ইসলামপন্থী প্রভাব বৃদ্ধি: সংবিধানে “বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম” সংযোজন
  • বিচার বহির্ভূত বিচার ও সামরিক আদালত চালু

🔷 হত্যাকাণ্ড ও মৃত্যু

জিয়াউর রহমান নিহত হন ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক সামরিক অভ্যুত্থানে। হত্যাকাণ্ডটি রাষ্ট্র ও জাতিকে গভীর শোক ও রাজনৈতিক সংকটে ফেলে।

  • হত্যাস্থল: চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস
  • দাফন: ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে “শহীদ জিয়া মাজার” প্রতিষ্ঠা

এ হত্যাকাণ্ডের পর তদন্ত ও বিচার হলেও অনেক প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখনো অজানা।


🔷 উত্তরাধিকার ও পরিবারের রাজনৈতিক প্রভাব

🔶 বেগম খালেদা জিয়া:

  • তিনবারের প্রধানমন্ত্রী
  • বিএনপির চেয়ারপারসন

🔶 তারেক রহমান:

  • বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান
  • বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত

🔷 জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও বাংলাদেশের রাজনীতি

জিয়ার রাষ্ট্রচিন্তা ছিল:

  • “বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ”
  • ধর্মীয় সহনশীলতা
  • উন্নয়নকেন্দ্রিক রাজনীতি
  • সেনাবাহিনীকে জাতীয় উন্নয়নে সম্পৃক্ত করা

🔷 রেফারেন্স ও তথ্যসূত্র

  1. বাংলাপিডিয়া: https://bn.banglapedia.org/
  2. বিএনপি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: https://bnpbd.org
  3. Daily Star Archives
  4. Prothom Alo Features
  5. “Bangladesh: A Legacy of Blood” – Anthony Mascarenhas

🔷 উপসংহার

জিয়াউর রহমান ছিলেন এমন একজন নেতা যিনি একাধারে যোদ্ধা, রাষ্ট্রনায়ক ও রাজনৈতিক কৌশলী। তাঁর রাষ্ট্র পরিচালনার ধারা আজও বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচিত। তাঁর মৃত্যুর চার দশক পরেও তিনি বহুল আলোচিত ও প্রাসঙ্গিক, বিশেষ করে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রেক্ষাপটে।

অবশ্যই! নিচে দেওয়া হলো জিয়াউর রহমানের জীবনের ২০টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও অধ্যায়, প্রতিটির সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য, যা তাঁর ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রভাব বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ।


🔥 জিয়াউর রহমানের জীবনের ২০টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা


১. জন্ম ও পরিবারিক পটভূমি (১৯৩৬)

জন্ম তারিখ: ১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬
স্থান: বগুড়া, বাংলাদেশ
বিশেষত্ব: মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় বাবার চাকরির কারণে পাকিস্তানের করাচিতে চলে যান, যেখানে তার শৈশব ও শিক্ষাজীবন কেটেছে।


২. পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে ভর্তি (১৯৫৩)

স্থান: কোহাট, পাকিস্তান
জিয়া ১৯৫৩ সালে মিলিটারি একাডেমিতে যোগ দেন এবং সেনা অফিসার হিসাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন, যা তাঁর ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের ভিত্তি তৈরি করে।


৩. সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ (১৯৫৫)

পদবি: সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট
পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত হয়ে পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত ছিলেন। পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতা তাঁকে দ্রুত পদোন্নতির পথে নিয়ে যায়।


৪. মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার ঘোষণা (২৬ মার্চ ১৯৭১)

স্থান: কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র, চট্টগ্রাম
ঘোষণা: “আমি মেজর জিয়া বলছি… বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি।”
এই সাহসী পদক্ষেপ তাঁকে জাতীয় নায়কে পরিণত করে।


৫. Z-Force গঠন ও যুদ্ধ পরিচালনা (১৯৭১)

তিনি Z-Force নামক একটি বিশেষ বাহিনী গঠন করেন এবং সরাসরি যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। তাঁর বীরত্বের জন্য তাঁকে “বীর উত্তম” খেতাবে ভূষিত করা হয়।


৬. স্বাধীনতা পরবর্তী সেনাবাহিনীতে উত্থান (১৯৭২–১৯৭৫)

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জিয়া ছিলেন এক অন্যতম প্রভাবশালী সামরিক কর্মকর্তা। তিনি বঙ্গবন্ধুর সরকারের অধীনে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।


৭. ১৫ আগস্ট ১৯৭৫: বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সেনাপ্রধান হওয়া

শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ডের পর, রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।


৮. ৭ নভেম্বর ১৯৭৫: সিপাহী-জনতার বিপ্লব

এই তারিখে জনতা ও সেনা সদস্যদের একত্রিত আন্দোলনের মাধ্যমে জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রে উঠে আসেন। এ ঘটনাকে তাঁর রাজনৈতিক উত্থানের মোড় বলা যায়।


৯. রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ (১৯৭৭)

তিনি জাতির রাষ্ট্রপতি হন এবং সামরিক থেকে বেসামরিক রূপান্তর শুরু করেন। জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।


১০. বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন

একদলীয় শাসন (BAKSAL) বাতিল করে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেন, যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি মোড় ঘোরানো সিদ্ধান্ত।


১১. বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা (১৯৭৮)

তারিখ: ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮
জিয়া নিজের রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি গঠন করেন, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে ওঠে।


১২. ধর্মীয় মূল্যবোধকে সংবিধানে স্থান দেওয়া

তিনি বাংলাদেশের সংবিধানে “বিশ্বাসে দৃঢ়, স্রষ্টার প্রতি আস্থাশীল” জাতীয় নীতিতে ধর্মীয় অনুভূতির প্রতিফলন ঘটান।


১৩. ‘নিজের জমিতে ঘর’ কর্মসূচি চালু

গরিব মানুষের জন্য নিজস্ব জমিতে ঘর তৈরি করে দেওয়ার এই প্রকল্প ছিল জিয়ার একটি মানবিক ও জনমুখী সিদ্ধান্ত।


১৪. উপজেলা পদ্ধতির সূচনা

স্থানীয় প্রশাসনকে শক্তিশালী করতে তিনি উপজেলা পরিষদ ব্যবস্থা চালু করেন, যা পরে এরশাদ সরকারে বিস্তৃত হয়।


১৫. পল্লী উন্নয়ন ও কৃষি পুনর্জাগরণ কর্মসূচি

তিনি গ্রামভিত্তিক উন্নয়নে গুরুত্ব দেন, যা কৃষিকে আধুনিক করে তোলে এবং খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের পথে এগিয়ে যায়।


১৬. বাহাত্তরের সংবিধান সংশোধন (পঞ্চম সংশোধনী)

এ সংশোধনের মাধ্যমে যুদ্ধোত্তর কালীন কিছু সিদ্ধান্তকে বৈধতা দেন, যা পরবর্তীকালে আইনি বিতর্ক সৃষ্টি করে।


১৭. বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়ন

জিয়া ওআইসি, NAM ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে কাজ করেন। তাঁর সময়েই জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী সদস্যপদ পায়।


১৮. মাহাথির মোহাম্মদের সাথে অর্থনৈতিক মডেল আলোচনায় অংশগ্রহণ

জিয়া মালয়েশিয়ার আধুনিক উন্নয়ন মডেল অনুসরণের কথা বলেন। এটি ছিল ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গঠনের আর্থনৈতিক পরিকল্পনার অংশ।


১৯. জিয়ার হত্যাকাণ্ড (৩০ মে ১৯৮১)

স্থান: চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস
একটি সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি নিহত হন। তাঁর মৃত্যু রাষ্ট্রকে গভীর রাজনৈতিক সংকটে ফেলে।


২০. চন্দ্রিমা উদ্যানে মাজার নির্মাণ

ঢাকায় তাঁর কবরস্থান পরবর্তীকালে “শহীদ জিয়া মাজার” নামে পরিচিত হয়, যা বিএনপির রাজনৈতিক শক্তির প্রতীকেও পরিণত হয়।


✅ উপসংহার

জিয়াউর রহমানের জীবন শুধুমাত্র একটি জীবনের গল্প নয়, বরং বাংলাদেশের রাষ্ট্র-গঠনের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ বাংলাদেশের ভবিষ্যতের গতিপথ নির্ধারণে ভূমিকা রেখেছে।


ঢাকাপোস্ট ডট নেট

you can read also Shakib Khan

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *